বুধবার, ১২ জুন, ২০১৩

আমার মা, আমার আম্মু, আমার সব

হলের বা মেসের খাওয়া দাওয়া সাধারনত তিন আইটেমে সীমাবদ্ধ। মাংস, মাছ ডাল। মাংস আর মাছ সাধারনত ছোট্ট এক বা দুই পিস করে।

এটা আম্মুও জানে। তবু গত কয়েক বছর ধরে প্রতিবেলায় ফোন দিয়ে যে প্রশ্ন দুটো তিনি করবেনই সেগুলো হলো:

খেয়েছ নাকি ? কি দিয়ে খেয়েছ ? 

জবাব শুনে আম্মু প্রতিবেলায় কষ্ট পায়। তবু তার শোনাই লাগবে। আমিও পালটা প্রশ্ন করি। প্রতিদিন এক কথা শোনা লাগে কেন ? বাসায় ভালো কিছু রান্না হলে আম্মু বলতে কষ্ট পায়। যেনো আমি বাসায় না থাকা অবস্থায় ভালো আইটেম রান্না করাটা বিরাট অন্যায় !

আবার অজুহাতও দেন ! আজ মেহমান এসেছিলোতো- তাই এইটা করেছি। আজ দুপুরের রান্নাটা খেয়ে একেবারে রুচি চলে গেছেতো- তাই এইটা করেছি। ছোটবোনের কাছে শুনেছি যেদিন আমার প্রিয় কোনো আইটেম রান্না হয় সেদিন খেতে বসলেই আম্মুর মন খারাপ হয়ে যায় !

এমনই কোনো একদিন আমার শুধু ছোট্ট দুই পিস মাংস দিতে ভাত খাওয়ার কথা শুনে সাথে সাথে মায়ের চোখে পানি এসে গিয়েছিলো। এটাও বোনের কাছে শোনা। অবশ্য জিজ্ঞেস করলে আম্মু স্বীকার করেন না।

সত্যিই পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজটা হলো মা হওয়া। এ কাজে কোনো সাপ্তাহিক ছুটি নেই, কোনো বেতন নেই, বোনাস নেই, পদোন্নতি নেই,প্রোমোশন নেই। তবু কিভাবে যে মায়েরা এই কাজটা সারাজীবন করে যান বুঝি না! শুধু কাজটা করে মায়ের মুখে তৃপ্তির হাসি দেখে বুঝি- সবচেয়ে কঠিন এই কাজটাই হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম কাজ।

সোমবার, ৩ জুন, ২০১৩

শিক্ষকদের শিক্ষকতা নাকি ক্ষমতাকতা

শিক্ষকদের উচিত ছাত্রদের সাথে ক্ষমতার অপব্যাবহার না করা। শিক্ষকদের উচিত নিজের সম্মান বজায় রেখে ছাত্রদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরন করা। 
তা না হলে যেকোনো সময় যেকোনো শিক্ষকই সম্মান হারাতে পারেন, তখন কিন্তু ছাত্রদের দোষ দেয়া ঠিক হয় না। একজন শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীকে যথাযথ সাহায্য করতেই না পারলেন তাহলে তিনি কিসের শিক্ষক। আমার মনে হয় ৯৮% শিক্ষার্থীই টিচারের সাথে কখনোই অকারনে অসম্মান জনক কিছু করেনা। টিচার যখন সামান্য দোষে অনেক বড় ক্ষমতা দেখিয়ে নিজের সম্মান জোর করে পেতে চান ঠিক তখনই তার সম্মান হারানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে।
শিক্ষক আসলে তো বাবা - মা বা বড় ভাই - বোনের মতো। তাহলে তারা কেন ছাত্রদেরকে সন্তান বা ছোট ভাই বোনের মতো চোখে না দেখে শত্রু মনে করে।
সবশেষ কথা হল '' জোর করে সম্মান পাওয়া যায় না, নিজের ব্যাবহারে সম্মান এমনিই চলে আসে।